প্রকাশ : ১৪ জুলাই ২০২৪, ০২:৪০
এখন মুক্তিযোদ্ধাদের আর নিজেদের কোনো কোটার প্রয়োজন নেই : গণপূর্তমন্ত্রী
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, ‘কোটা সংরক্ষণের যেমন প্রয়োজন আছে। তেমনিভাবে অযৌক্তিকভাবে যে সমস্ত কোটা সংরক্ষণ আছে সেগুলোকেও একটা যৌক্তিক পর্যায় নিয়ে আসা প্রয়োজন। আমাদের সংবিধানেও কোটার কথা বলা হয়েছে অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর অগ্রসরের প্রয়োজনে। এখন মুক্তিযোদ্ধাদের আর নিজেদের জন্য কোনো কোটার প্রয়োজন নেই। তাদের সন্তানরাও কোটার বাইরে চলে গেছে। এখন অন্যদেরকেও কোটা দেওয়া হবে কি না, সেটা আদালত যেভাবে নির্দেশনা দেবে সেভাবে সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।’
শনিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে মাদারীপুরের শিবচরে পৌরশহরে দাদা ভাই হাউজিং প্রকল্পে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের বলব, আপনারা আরেকটু অপেক্ষা করুন, ধৈর্য ধারণ করুন। এভাবে আপনারা পড়াশোনা নষ্ট করে যেভাবে মাঠে আছেন, আপনাদের প্রতি সিমপ্যাথি থাকলেও আমরা মনে করি আপনারা নিজেদের ক্ষতি করছেন।’
গণপূর্তমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আপনারা মাঠ থেকে উঠে আসুন, পড়াশোনায় মনোনিবেশ করুন। সেই সঙ্গে আপনাদের দাবির ব্যাপারেও সোচ্চার থাকুন। আমরা আপনাদের অভিভাবক, আমরা আপনাদের প্রতি বিরূপ নই। শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগ জনগণের প্রতি যথেষ্ট সংবেদনশীল, ছাত্রছাত্রীদের প্রতিও সংবেদনশীল। আমাদের সরকার অবশ্যই সব দিকেই বিচার বিশ্লেষণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ।’
এ সময় বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠানে চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এমপি প্রধান বক্তা হিসেবে বিশেষ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নবীরুল, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের চেয়ারম্যান অতিরিক্ত সচিব মো. হামিদুর রহমান, মাদারীপুরের জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুনির চৌধুরী, মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ মারুফুর রশিদ খান, মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শফিকুর রহমানসহ গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পদের কর্মকর্তারা। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
এর আগে মন্ত্রী উপজেলার কাঁঠালবাড়িতে পদ্মানদীর পাড়ে মুজিব আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারের প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শন করেন। পরে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে উপজেলার ‘দাদা ভাই’ উপশহরে তিনি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে যোগদান করেন।