প্রকাশ : ০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:৪০
এক কেন্দ্রের অনিয়মে আটকে গেল ময়মনসিংহ-৩ এর ফল
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহের ১১টি আসনের মধ্যে ১০টি আসনের ফলাফল ঘোষণা করা হলেও স্থগিত করা হয়েছে একটির ফলাফল।
রোববার (৭ জানুয়ারি) দিনভর নানা অনিয়ম-সংঘর্ষের ঘটনায় বন্ধ হয়ে যায় ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনের ভোটগ্রহণ। বিকেল সোয়া ৪টার দিকে উপজেলার সহনাটি ইউনিয়নের ৪০ নম্বর ভালুকাপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
একইসঙ্গে কেন্দ্র দখল ও ভাঙচুর করে ছয়টি ব্যালট বাক্স ছিনতাই করার ঘটনাও ঘটেছে ওই আসনে। ফলে এক কেন্দ্রের অনিয়মে আটকে গেল ময়মনসিংহ-৩ পুরো আসনের ফল।
নির্বাচনী ফলাফল বলছে, ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনে নৌকা এগিয়ে থাকলেও একটি কেন্দ্রের ফলাফল বাতিল হওয়ায় এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে ভোটের পার্থক্য এক হাজারেরও কম থাকায় এ আসনের ফলাফল স্থগিত রয়েছে। এ আসনে নিলুফার আনজুম পপি নৌকা প্রতীকে ৫৩ হাজার ১৯৬ ভোট পেয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সোমনাথ সাহা ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৫২ হাজার ২১১ ভোট।
নির্বাচনী অনিয়ম নিয়ে ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা নরোত্তম চন্দ্র রায় বলেন, সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে ভোটগ্রহণ চলছিল। তবে দুপুর আড়াইটার দিকে এক দুর্বৃত্ত এসে একটি কক্ষ থেকে একটি ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে নিয়ে যায়। তারপরও ভোটগ্রহণ চলছিল। বিকেল সোয়া ৪টার দিকে আরো লোকজন কেন্দ্রে হামলা ও ভাঙচুর করে পাঁচটি ব্যালট বাক্সসহ সব ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে নিয়ে যায়।
পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানালে তিনি আমাদের সবাইকে একটি কক্ষে অবস্থান করার নির্দেশ দেন। সব ব্যালট বাক্স যেহেতু ছিনতাই হয়ে গেছে, সেখানে ভোট গণনার কোনো প্রশ্নই আসে না। তাছাড়া আমিতো এখানকার লোকাল না। তাই কাউকে চিনতে পারিনি।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, ওই কেন্দ্রের ফলাফল বাতিল করা হবে। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
নওগাঁ-২ আসনের নির্বাচন যে কারণে স্থগিত
নওগাঁ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মারা যাওয়ায় ওই আসনে নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসি অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ গত ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, নওগাঁ-২ আসনে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল হক প্রতীক পাওয়ার পরদিনই ২৯ ডিসেম্বর ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
সাধারণত কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মত্যুবরণ করলে রিটার্নিং কর্মকর্তা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন স্থগিত করবেন। ওই আসনে পরে নির্বাচন হবে।
এ ব্যাপারে ইসির অতিরিক্ত সচিব বলেন, বর্তমান বৈধ প্রার্থীরা থাকবেন। তাদের নতুন করে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে না। পুনরায় তফসিল হলে নতুন করে অন্যরা মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারবেন। এ আসনে কবে ভোট হবে, তার তফসিল নিয়ে কমিশন পরে সিদ্ধান্ত দেবে।