প্রকাশ : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৩:০২
সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচলের পরিবেশ যাচাই
কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের পরিবেশ অনুকূলে আছে কি না, তা পর্যবেক্ষণে একটি দল দ্বীপে পৌঁছেছে।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাসিম আহমদের নেতৃত্বে ‘বার আউলিয়া’ জাহাজে দলটি সেন্টমার্টিনে পৌঁছায়।
এর আগে টেকনাফের দমদমিয়া জেটিঘাট থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে সকালে রওনা করে জাহাজটি। পর্যবেক্ষণ দল উভয় পাড়ের জেটিঘাট, নাফ নদের নাব্যতাসহ নানা বিষয় খতিয়ে দেখছে। পরে এ রুটে জাহাজ চলাচলের অনুমতি বিষয়ে জেলা প্রশাসনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
পর্যবেক্ষণ দলে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আদনান চৌধুরী, বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব রায়হান উদ্দিন আহমেদসহ ট্যুরিস্ট পুলিশের কর্মকর্তাসহ অনেকে রয়েছেন।
আজ দুপুরে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, ‘টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচলের পরিবেশ অনুকূলে আছে কি না দেখতে আমরা দ্বীপে এসেছি। এখন সেন্টমার্টিনে অবস্থান করছি। এ বিষয়ে বিকেলে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে বৈঠক রয়েছে। সেখানে সিদ্ধান্ত হবে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল কখন থেকে শুরু হবে।’
পর্যবেক্ষণ দলে থাকা কক্সবাজার ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের (টুয়াক) সিনিয়র সহ-সভাপতি হোসাইনুল ইসলাম বাহাদুর বলেন, ‘আমরা খুব শান্ত পরিবেশে প্রবাল দ্বীপে পৌঁছেছি। দ্বীপে থেকে ফিরে বিকেলে জেলাপ্রশাসনের বৈঠকে জানা যাবে কাল থেকে জাহাজ চলাচল শুরু হবে কি না।’
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, ‘পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হবে জেনে দ্বীপের সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা খুশি। আমরাও পর্যটকদের প্রবাল দ্বীপে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত রয়েছি।’
এর আগে এই রুটে চলতি বছরের ২০ মার্চের পর জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।